Propylene Glycol কী?

Propylene Glycol কী?

Propylene Glycol হল একটি রাসায়নিক যৌগ, যা সাধারণত তরল অবস্থায় থাকে। প্রোপিলিন গ্লাইকলের রাসায়নিক সংকেত হল C3H8O2। Propylene Glycol এর একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, এটি একটি রঙ বিহীন, স্বাদহীন তরল পদার্থ যার ফলে এটি খুব সহজেই খাদ্য, চিকিৎসা ও প্রসাধনী শিল্পে ব্যপকহারে ব্যবহার করা যায়।


প্রোপিলিন গ্লাইকল উল্লেখযোগ্য ব্যবহার হলঃ

1. এন্টিফ্রিজিং এজেন্ট: প্রোপিলিন গ্লাইকল এন্টিফ্রিজিং এজেন্ট হিসেবে  তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং উষ্মতা ও শীতলতার মাঝে একটি সাম্যাবস্থা তৈরী করে, যাকে মুলত এইচভিএসি সিস্টেম বলা হয়ে থাকে।

2. চিকিৎসা ক্ষেত্রে: প্রোপিলিন গ্লাইকল চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যপকহারে ব্যবহৃত হয়, এর দ্বারা বিভিন্ন প্রকার ক্রিম, ওয়াশিং এজেন্ট এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় চিকিৎসা পণ্য তৈরী করা হয়। 

3. খাবার উৎপাদন: এটি খাবারের উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, প্রোপিলিন গ্লাইকল খাদ্য উপাদানে অ্যান্টিফ্রজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে খাদ্য তরলের উষ্মতা এবং শীতলতার মাঝে  একটি স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।

4. প্রকৌশল এবং শিল্প রসায়ন: প্রোপিলিন গ্লাইকল বিভিন্ন প্রকার শিল্প উৎপাদনে সক্রিয় উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় ।যেমনঃ রং তৈরি, কোটিং ইত্যাদি।

5. ফার্মাসিউটিক্যাল: বিভিন্ন প্রকার ওষুধী পণ্যের কার্যকরীতা বজায় রাখতে প্রোপিলিন গ্লাইকল ব্যবহৃত হয় ।

6. Deicing এজেন্ট বা বরফ প্রতিরোধকঃ  প্রোপিলিন গ্লাইকল  Deicing এজেন্ট হিসেবে কাজ করে, এটি খুব সহজে বরফের গলনাংক কমিয়ে বরফকে গলতে সাহায্য করে, যার ফলে প্রোপিলিন গ্লাইকলের দ্বারা   শীতপ্রধান দেশের রাস্তা, রানওয়ে ইত্যাদি যান চলাচল স্থানে জমে থাকা স্নো কিংবা বরফ খুব সহজে অপসারণ করা যায়। 

7. কসমেটিকস: প্রোপিলিন গ্লাইকল প্রসাধনী শিল্পের বেশিরভাগ তরল পণ্যে যেমন লোশন, ক্রিম, এবং তেল ইত্যাদির উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়।

8. খাদ্য সংরক্ষক:  প্রোপিলিন গ্লাইকল খাদ্য উপাদানে ব্যবহার করা হলে এটি খাদ্য উপাদনে ব্যাকটেরিয়া এবং বিভিন্ন ক্ষতিকর জীবাণুর সংক্রমণে বাধা প্রদান করে যার ফলে খাদ্য সংরক্ষণে এটি একটি কার্যকরী উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।





Recent Post